Tarapith Skywalk : পুণ্যস্থানগুলিতে দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে পরিকাঠামো উন্নয়নের পথে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। দক্ষিণেশ্বর ও কালীঘাটে স্কাইওয়াক নির্মাণের পর এবার জল্পনা শুরু হয়েছে—তারাপীঠেও কি স্কাইওয়াক তৈরি হতে চলেছে? প্রশ্ন উঠতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন বাস্তব পরিস্থিতি।
সম্প্রতি কালীঘাট স্কাইওয়াক উদ্বোধনের সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের খুব ইচ্ছা ছিল তারাপীঠে স্কাইওয়াক করার। মন্দির কর্তৃপক্ষেরও ইচ্ছা ছিল। কিন্তু প্রবেশপথ এতটাই সরু যে সেখানে স্কাইওয়াক নির্মাণের সুযোগ নেই।” অর্থাৎ, জায়গার অভাবেই আপাতত পিছিয়ে আসতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে।
তবে মুখ্যমন্ত্রী এও জানিয়েছেন, তারাপীঠে ইতিমধ্যেই নানা উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তার কথায়, “যদি ১০ বছর আগে কেউ তারাপীঠ গিয়ে থাকেন, আর এখন যান, তাহলে দেখবেন অনেক কিছু বদলে গেছে। নতুন গেট, উন্নত নিকাশি ব্যবস্থা, নতুন ভোগঘর, এমনকি তারাপীঠ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও গঠিত হয়েছে।”
দক্ষিণেশ্বরের পর কালীঘাটেও রাজ্য সরকারের নজরদারি ও পরিকল্পনায় স্কাইওয়াক, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, আলোকসজ্জা, পাবলিক প্লাজা, নতুন অফিস ভবন সহ একাধিক পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে। পটচিত্রের মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতি ও শিল্পীদের কাজ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মন্দির চত্বরের নানা প্রাঙ্গণে।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি অনুযায়ী, কালীঘাট মন্দিরের উপরে নির্মিত হয়েছে সোনার চূড়াও। সেই সঙ্গে নতুন করে নির্মিত হয়েছে হকার্স কর্নার এবং স্কাইওয়াকের একাধিক সংযোগ পথ।
সব মিলিয়ে ধর্মীয় স্থানগুলিকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারের আধুনিকীকরণ প্রকল্প ক্রমশ দৃশ্যমান হলেও, তারাপীঠে স্কাইওয়াক নির্মাণ আপাতত সম্ভব না হওয়ায় কিছুটা হতাশ ভক্তমহল। তবে মুখ্যমন্ত্রীর কথায় আশা, পরবর্তী পরিকল্পনায় হয়তো তারাপীঠের আরও উন্নয়ন দেখা যাবে।