Fake medicine QR : স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে ওষুধের গুণমান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিককালে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্যালাইন কাণ্ড নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। স্বাস্থ্য দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, যার জেরে ওষুধের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে প্রশাসন আরও কড়া অবস্থান নেয়। এবার উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের ক্ষেত্রে নকল ওষুধ ঠেকাতে বড় পদক্ষেপ নিল স্বাস্থ্যভবন।
রাজ্য তথা দেশের অন্যতম জনপ্রিয় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ ‘টেলমা এএম ৪০’ (blood pressure medicine fraud) নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল সংস্থা ও রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর বিষয়টি খতিয়ে দেখে। তদন্তে দেখা যায়, নকল ওষুধ তৈরি করে বাজারে ছাড়া হচ্ছে, যা রোগীদের স্বাস্থ্যের জন্য ভয়ানক ক্ষতিকর।
নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এখন থেকে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে এই ওষুধ বিক্রির আগে QR কোড স্ক্যান করা বাধ্যতামূলক। ব্যাচ নম্বর সঠিক থাকলেই কেবলমাত্র ওষুধ বিক্রির অনুমতি দেওয়া হবে। সম্প্রতি হাওড়ার আমতা থেকে উদ্ধার হওয়া নকল ওষুধের ব্যাচ নম্বর ‘০৫২৪০৩৬৭’, যা আসল ওষুধের নম্বরের সঙ্গে হুবহু মিলে যাচ্ছে। নকল ওষুধের মোড়কে বানানের ভুলও পাওয়া গেছে (counterfeit drugs India)।
রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল অফ ডিরেক্টরেট ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে চায়। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, উদ্ধার হওয়া ওষুধ আসল নয়, এটি নকল। ফলে রোগীদের সুরক্ষার স্বার্থে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, হাসপাতাল, হোলসেল, ওষুধের রিটেল চেন—সবাইকে ওষুধ মজুতের আগে QR কোড স্ক্যান করতে হবে। যদি স্ক্যান করার পর তথ্য মেলে না, তাহলে ওষুধ বাতিল বলে গণ্য হবে। স্বাস্থ্য দপ্তরের মতে, নকল ওষুধ হলে QR কোড স্ক্যান করলে ‘Could not verified’ দেখাবে। এর ফলে নকল ওষুধের কারবার বন্ধ হবে এবং রোগীরা নিরাপদ থাকবেন (drug verification system)।
এই সিদ্ধান্তের ফলে শুধু স্বাস্থ্যসুরক্ষা নয়, ওষুধের বাজারে স্বচ্ছতাও বজায় থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। নতুন ব্যবস্থা কার্যকর হলে রোগীদের আর নকল ওষুধের শিকার হতে হবে না।