Chanakya opinion on begging : সমাজে অনেকেই আছেন যারা রাস্তার ধারে ভিখারিদের দেখলেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। কেউ দেন টাকা, কেউ দেন খাবার। দান করাকে মহৎ কাজ মনে করা হয়, কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন এই অভ্যাস সমাজের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে? ভারতীয় দার্শনিক এবং রাজনীতিবিদ চাণক্য (Chanakya thoughts) এই বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিয়েছেন, যা আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।
চাণক্যের মতে, এমন ব্যক্তিকে সাহায্য করা উচিত নয়, যিনি পরিশ্রম করতে চান না। যারা শারীরিকভাবে সক্ষম কিন্তু পরিশ্রম না করে শুধুমাত্র সাহায্যের উপর নির্ভরশীল, তাদের সাহায্য করা হলে অলসতা (social impact of begging) আরও বেড়ে যায়। এর ফলে সমাজে পরনির্ভরশীলতার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়, যা সামগ্রিক উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে।
তিনি আরও বলেন, অতি দয়া এবং সহানুভূতি দেখালে অনেক সময় মানুষ প্রতারিত হন। অনেক ভিখারি প্রকৃতপক্ষে সাহায্যের প্রয়োজনীয়তার চেয়ে পেশাদার ভিক্ষুক হয়ে ওঠে। এতে পরিশ্রম করার মানসিকতা নষ্ট হয় এবং কর্মসংস্থানের চেষ্টার পরিবর্তে সহজ উপায়ে অর্থ উপার্জনের অভ্যাস গড়ে ওঠে।
তবে চাণক্য বলেন, যদি কাউকে সাহায্য করতেই হয়, তবে সেটি এমনভাবে করা উচিত যাতে সে ভবিষ্যতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। টাকা বা খাবার দেওয়ার পরিবর্তে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা ভালো। যারা সত্যিকারের পরিশ্রমী এবং উন্নতির ইচ্ছা রাখেন, তাদের সহায়তা করাই সমাজের জন্য মঙ্গলজনক।
তাই, অন্ধভাবে ভিক্ষা দেওয়ার আগে একবার ভাবা দরকার। যে সাহায্য প্রকৃত অর্থে কাউকে স্বনির্ভর করে তুলবে, সেটাই সমাজের জন্য উপকারী। চাণক্যের এই শিক্ষা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত জীবনের জন্য নয়, বরং সমাজের সামগ্রিক উন্নতির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়।